হ্যাভেন টিউন এর সিলেবাস ভিত্তিক বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর।
🔹গীত- সুর, তাল, লয়সহ মনের ভাব কথায় প্রকাশ করলে তাকে গীত বলে।
🔹বাদ্য- যন্ত্রসঙ্গীতকেই এক কথায় বাদ্য-সঙ্গীত বলে। যেমন- কর্ড, ইকো, রিভার্ব, কিবোর্ড, হারমোনিয়াম, তবলা, করতাল, ঢোল ইত্যাদি।
🔹নৃত্য- অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করলে তাকে নৃত্য বলে।
🔷 সঙ্গীত
গীত, বাদ্য ও নৃত্য – এই তিনটি ক্রিয়া একত্রে নিষ্পন্ন হলে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয়, শাস্ত্র মতে তাকেই সংগীত বলে।
🔷 ইসলামিক সঙ্গীত
যে সকল সংগীতে
”গীত” ( শব্দের সাথে সুর যোগ করলে গীত হয় )
”বাদ্য” ( যে কোন যন্ত্রের/ ডিভাইস এর সুর ) ও
”নৃত্য” ( বডি ল্যাংগুয়েজ/ অংগ ভংগি )
উল্লেখিত তিনটি বিষয় পরিমিত আকারে থাকে এবং ইসলামিক ভাবধারার শব্দে কথামালা সাজানো হয় তাকে ইসলামি সংগীত বলে।
✳ স্বর-
জীবজন্ত প্রভৃতির কন্ঠ হতে বা কোন পদার্থের আঘাতে যে শব্দ নির্গত হয়, তাকে স্বর বলে।
এই স্বর যখন সঙ্গীতোউপযোগী হয়, অর্থাৎ শ্রুতিমধুর হয়, তখন তাকে সঙ্গীতের স্বর বলা হয়।
✳ সঙ্গীতের স্বর ৭ টি
সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি।
১ / শুদ্ধ
২ / বিকৃত
✳ শুদ্ধ ও বিকৃত – স্বর বলতে কি বোঝায় ?
কোন একটি নির্দিষ্ট সুরকে ‘সা’ ধরে নিয়ে ঐ সা হতে রে, রে হতে গা, মা হতে পা, পা হতে ধা এবং ধা হতে নি স্বরগুলি পূর্ণান্তরে (একটি বাদে একটি রূপে) অবস্থিত হলে সেই স্বরগুলি শুদ্ধ স্বর এবং প্রতি দুটি শুদ্ধ স্বরের মধ্যকার বাদ দেওয়া অর্ধন্তরে অবস্থিত স্বরগুলি বিকৃত স্বর।
✳ সঙ্গীতে সপ্তক কটি ও তাদের পরিচয় কি?
সঙ্গীতে সপ্তক সাধারণত তিনটিঃ
উদারা
মুদারা ও
তারা
উদারা অর্থাৎ খাদ বা নিম্ন-সপ্তক,
মুদারা অর্থাৎ মধ্য-সপ্তক এবং
তারা অর্থাৎ চড়া সপ্তক।
উদারার দ্বিগুণ চড়া মুদারা এবং মুদারার দ্বিগুণ চড়া তারা অর্থাৎ উদারার “সা” অপেক্ষা তারার “সা” চারগুণ ছড়া বা উঁচু।
✳ অক্টেভ কি?
মুদারার “সা” হতে তারার “সা” পর্যন্ত ৮টি স্বরের সমষ্টিগত নামকে অষ্টক এবং স্বরগুলির ক্রমানুযায়ী অবস্থানকে ইংরেজিতে (Western Music) অক্টেভ বলে।
✳ নিম্নে হারমোনিয়ামে সপ্তক ও অক্টেভ চিত্রঃ
🎹 C# শার্প D#শার্প F#শার্প G#শার্প A#শার্প
🎹 স র গ ম প ধ ন র্স
🎹 S R G M P D N S
🎹 C D E F G A B C
✳ আরোহী ও অবরোহীর সংজ্ঞা –
কোন নির্দিষ্ট একটি সুরকে “সা” মনে করে বা ধরে নিয়ে তার পরবর্তী চড়ার দিকে বাজিয়ে গেলে সংগীতের ভাষায় তাকে আরোহী বলে।
যে কোন নির্দিষ্ট সুর থেকে নিম্নদিকে বাজিয়ে আসলে তাকে অবরোহী বলে।
✳ রাগ-
প্রাচীন সঙ্গীত শাস্ত্রে স্বর ও বর্ণ দ্বারা ভূষিত ধ্বনিবিশেষকে রাগ বলা হয়।
এটি মানবচিত্তে এক ধরনের রঞ্জক ধ্বনির আবহ সৃষ্টি করে।
ধাতুগত অর্থ করতে হলে,
যে স্বর লহরী মনকে রঞ্জিত করে তাকে রাগ বলা হয়।
✳ তুক্-
গানের স্তবক, পদ বা কলিকে তুক্ বলে।
তুক্ চার প্রকার যথাঃ স্থায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী ও আভোগ।
(ক) স্থায়ীঃ গানের কথাগুলির প্রথম স্তবক বা কলিকে স্থায়ী বলা হয়।
(খ) অন্তরাঃ গানের দ্বিতীয় স্তবক বা কলিকে অন্তরা বলা হয়।
(গ) সঞ্চারীঃ গানের তৃতীয় স্তবক বা কলিকে সঞ্চারী বলা হয়।
(ঘ) আভোগঃ গানের শেষ কলি বা চতুর্থ স্তবককে আভোগ বলা হয়।
✳ গান-
মনের ভাব সুরসহ কথায় প্রকাশ করার নাম গান।
শাস্ত্রমতে গান দু’ প্রকারঃ
নিবদ্ধ ও অনিবদ্ধ।
গানের রচনা যদি শাস্ত্রীয় নিয়ম অনুসারে সুর মাত্রা ও তালে বাধা থাকে, তবে তাকে নিবদ্ধ গান বলা হয়।
রাগের বা সুরের বাধা থাকলেও যে গানগুলো তাল বিহীন সে গুলোকে বলা হয় অনিবদ্ধ গান।
✳ তাল-
করতালের শব্দের দ্বারা গীত, বাদ্য ও নৃত্য – নিষ্পন্নের কাল বা সময় কে তাল বলা হয়।
তালহীন সঙ্গীত হয় নীরস।
ওস্তাদ জী বলে থাকেন –
বেসুরা গান ও বেতালা গান উভয়ই কানে বেশি পীড়া দায়ক।
✳ মাত্রা-
তালের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশগুলিকে এক – একটি মাত্রা বলে।
সঙ্গীতের ক্ষেত্রে মাত্রা বলতে কাল বা সময়ের পরিমাণকেই বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ ঘড়ির “টিক টিক” শব্দগুলিকেও এক-একটি মাত্রা মনে করা যায়। প্রতি সেকেন্ডেকে এক একটি মাত্র ধরে নিলে মিনিটগুলি হয় এক- একটি তাল বা তালাঘাত অথবা প্রতি মিনিটকে এক-একটি মাত্রা ধরে নিলে ৬০ মিনিটের সমষ্টি এক ঘন্টাকেও এক একটি তালাঘাত মনে করা হয়।
✳ লয় –
গীত, বাদ্য ও নৃত্য একত্রে অথবা পৃথকরুপে নিষ্পন্ন হতে যে একটি বিশেষ গতির প্রয়োজন, তাকে সঙ্গীতের ভাষায় লয় বলে।
লয় মানে গতি
কতটা দ্রুত অথবা ধীরে গাইছেন।
💠 স্বরলিপি
মাত্রা,ছন্দ ও বিভাগ অনুযায়ী তালি ও খালির সহযোগে লিপিবদ্ধ করাকে স্বরলিপি বলে ।
স্বরলিপি হল লিখিত চিহ্নের দ্বারা সাঙ্গীতিক স্বরকে লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি।
হ্যাভেন টিউন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন in Dhaka